(অর্ডার করার পূর্বে এই লেখা টি অবশ্যই পড়ুন)
অনলাইনে যারা আসল জাফরান বিক্রি করে ও ঘোষণা দেয় নকল প্রমাণ করলে লাখ টাকা পুরষ্কার দেবে তাদেরটাও আসল হতেই পারে, কিন্তু সব আসলই সর্বউৎকৃষ্ট, এবং একটা একটা করে বাছাই করা প্রিমিয়াম গ্রেড নয়। আসল ও অরিজানাল জাফরান কয়েক গ্রেডের কোয়ালিটি বাজারে পাওয়া যায়।
✅ ইরানি জাফরানের মধ্যে সব চাইতে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির জাফরান হচ্ছে সুপার ন্যাগিন
✅জাফরান কিনবেন যখন মুদি দোকানের পুরানো জাফরান কেন কিনবেন আমরা আপনাদের জন্য ইরানি প্রিমিয়াম গ্রেডের জাফরান আমদানি করে থাকি
ব্র্যান্ড: BADIEE
অরিজিন: ইরান
গর্ভবতী অবস্থায় কেন জাফরান খাওয়া উচিত বলে মনে করেন পুষ্টিবিদেরা?
- যুগ যুগ ধরে গর্ভবতী নারীদের জাফরান খাওয়ার প্রচলন আছে
- গর্ভাবস্থায় ব্যাথা, রক্তচাপ, উদ্বেগ, মানসিক অস্থিরতা ও পেট ব্যথার অনুভূতিগুলির মোকাবেলায় সহায়তা করে
- গর্ভকালীন ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে।
- জরায়ুর পেশী শক্তিশালী করে যা প্রাকৃতিকভাবে সন্তান প্রসবে সাহায্য করে
- গর্ভের বাচ্চাকে সুস্থ ও পর্যাপ্ত পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে, গায়ের রঙ উজ্জ্বল করে
- গর্ভকালীন ব্যথা কমায়। হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- মুখের ব্রণ দূর করে। চুল পড়া বন্ধ, চুলের গোড়া শক্ত ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
ছেলে ও মেয়ে সবার জন্য জাফরানের আরো কিছু উপকারিতা
- জাফরানে রয়েছে পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্ত চাপ ও হৃদপিণ্ডের সমস্যা জনিত রোগ দূর করে।
- হজমে সমস্যা এবং হজম সংক্রান্ত যে কোনও ধরনের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে জাফরান।
- জাফরানের নানা উপাদান আমাদের মস্তিষ্ককে রিলাক্স করতে সহায়তা করে, এতে করে মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতা জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷
- নিয়মিত জাফরান সেবনে শ্বাস প্রশ্বাসের নানা ধরণের সমস্যা যেমন অ্যাজমা,পারটুসিস, কাশি এবং বসে যাওয়া কফ দূর করতে সহায়তা করে।
- জাফরানে রয়েছে অনিদ্রা সমস্যা দূর করার জাদুকরী ক্ষমতা। ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম দুধে সামান্য জাফরান মিশিয়ে পান করুন।
- জাফরানের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান বাতের ব্যথা,জয়েন্টে ব্যথা,মাংসপেশির ব্যথা এবং দুর্বলতা দূর করতে অব্যর্থ ঔষুধ৷
- অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে সামান্য একটু খানি জাফরান৷
- জাফরান দেহের কলেস্টোরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
* Saffron বা জাফরান খাওয়ার নিয়ম
- জাফরান খাওয়ার সবচেয়ে উত্তম সময় হচ্ছে রাত। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধের সাথে মিশিয়ে পান করুন। অবশ্যই অরিজিনাল জাফরান থেতে হবে। ১ গ্লাস গরম খাঁটি গরুর দুধ, অবশ্যই গুড়ো দুধ নয়। ১ চিমটি জাফরান ৪-৫ দানা জাফরান রেনু ৫ মিনিট রেখে হাল্কা গরম থাকা অতবস্থায় খেতে পারবেন। স্বাদ বাড়াতে ১ চামচ কিসমিস ১ চামচ মধু যগ করতে পারেন।
- আগে ভালো ভাবে দুধ ফুটিয়ে নিন। ফুটানো দুধের সাথে ১ চিমটি জাফরান ৪-৫ দানা জাফরান রেনু দিয়ে ২-৩ মিনিট ফুটিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন। এর মধ্যে কিসমিস দিয়ে দিন। এরপর ঢাকনা দিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন। কুসুম গরম দুধের সাথে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে ধীরে ধীরে পান করুন।
- চায়ের সাথে পান করতে চাইলে চায়ের মধ্যে এক চিমটি পরিমান জাফরান দিয়ে ২-৩ মিনিট জ্বাল দিবেন এর পর নামিয়ে পান করুন।
আসল জাফরান চেনার উপায়
জাফরান একটি দামি মসলা, যার কারণে বাজারে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী জাফরানের সাথে ভেজাল মিশ্রিত করেন এবং জাফরানের মত দেখতে কিছু নকল জাফরানও খোলা বাজারে পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে আমরা আপনাকে আসল এবং নকল জাফরানের মধ্যে প্রধান কিছু পার্থক্য বলে দিচ্ছি
- নকল জাফরান পানিতে ২-৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পর পানির রং লালচে হয়ে যায় আসল জাফরানে হলদে ভাব আসে। তাছাড়া, পানিতে ২-৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পর রেনুগুলো হাতে নিয়ে ঘষা দিলে হাতের সাথে সম্পূর্ণ মিশে যায়। আসল জাফরান হচ্ছে ফুলের রেনুর ড্রাই অবস্থা যা পানিতে ভিজলে তা সতেজ হয়ে নকল রেনুর মত হাতে নিলে মিশে যাবে না
- একটি গ্লাসে ৪/৫ টি জাফরান স্ট্র্যান্ড(রেনু) রাখুন। ৩-৪মিনিট অপেক্ষা করুন যদি দেখেন পানিতে খুব দ্রুত রঙ ছড়িয়ে যাচ্ছে, তবে এটি নকল। কেননা আসল জাফরানের গুনাগুন ও কালার ধীরে ধীরে বের হয় । একটু সময় প্রয়োজন হয়।
- মনে রাখবেন জাফরানে কোন কৃত্তিম তন্তু নেই। যদি পানিতে ভেজানোর পর তেমন কিছু পান তাহলে অন্য কোনো কিছু এতে যোগ করা হয়েছে। কারন জাফরান ওজনে খুবই হালকা। কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী জাফরানে অপদ্রব মিশিয়ে ওজন বেশি করার চেষ্টা করে
নীচের ছবিতে আসল জাফরান এর পূর্ণ নমুনা দেওয়া হলো উপরের দিকে প্রসস্ত দেখতে অনেকটা ফুলের মত নীচের দিকে সামন্য হলুদাভ ভাব থাকে ।
কেন আমাদের থেকেই নিবেন?
- আমরা সারা বাংলাদেশে হোম ডেলিভারীর মাধ্যমে জাফরান পাঠিয়ে থাকি ।
- আমাদের জাফরান অর্ডার করতে অগ্রিম টাকা দিতে হবে না(৫ গ্রাম পর্যন্ত)। জাফরান হাতে পেয়ে চেক করে মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন
- ডেলিভেরিম্যান এর সামনে জাফরান যাচাই করে নিবেন, যাচাই করার সময় একটু ভিডিও করে রাখবেন যেন পরবর্তীতে কোন অভিযোগ জানাতে আপনার সুবিধা হয়
- আমাদের সুপার নেগীন জাফরান ১০০% অথেনটিক ও প্রিমিয়াম গ্রেড তাই নিশ্চিন্তে পরিবারের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন
✅ বাজারে বিভিন্ন ধরনের জাফরান রয়েছে। এদের মধ্যে ইরানি জাফরান গুনেমানে সেরা বিশ্ববাজারের প্রায় ৮৫ -৯০ ভাগ জাফরান আসে ইরান থেকে। ইরান ছাড়াও আফগানিস্তান, কাশ্মীর, গ্রিস, স্পেন সহ বেশ কয়েকটি দেশে জাফরানের চাষ হয়। তবে এসব দেশে উৎপাদিত জাফরানের চেয়ে ইরানের জাফরান উৎকৃষ্ট মানের এবং গ্রাহক চাহিদা বেশি।
ইরানি জাফরানের বেশিরভাগ চাষ হয় ইরানের খোরসান নামক স্থানে। ইরানসহ মধ্যেপ্রাচ্যের দেশসমূহে জাফরান দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার ও পানীয় তৈরি হয়, যেমন: জাফরান দিয়ে তৈরি জাফরান চা, কফি, ক্যান্ডি, জেলি, কেক পাউডার,জাফরান কালি, প্রসাধনী তেও জাফরানের ব্যবহার আছে প্রচুর।
উপকারিতা
জাফরানের যেমন দাম তেমনি এর উপকারিতা। এই মশলাটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাঙ্গানিজ, কপার, আয়রন, ভিটামিন সি সহ ১৫০ টি উপাদান যা কিনা মানব শরীরের অনেক উপকারে আসে।জাফরানে রয়েছে ক্রোসিন যা কিনা শুধুমাত্র খাবারের রংই পরিবর্তন করে না। এই ক্রোসিন মানব শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের কোষ যেমন- ওভারিয়ান, কাসিনোমা, লিউকেময়া প্রভৃতি ধবংস করতে সহয়তা করে থাকে।
স্মৃতিশক্তি
- জাফরান স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। অনেক আগে থেকেই স্মৃতিশক্তি এবং পারকিনসন হাড়িয়ে যাওয়া লোকদের চিকিৎসায় জাপানে জাফরান ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে
ভাইটালিটি
- ভাইটালিটি বাড়াতে জাফরান ও দুধ পান করা যেতে পারে। খুবই উপকারি এটি। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস পরিমান দুধ ও এক চিমটে পরিমান জাফরান মিশিয়ে পান করুন আপনার শরীরের ভাইটালিটি বেড়ে যাবে।
শারীরিক উন্নতি
- যেসকল মেয়েদের দেখতে দেখলে রোগা রোগা লাগে ওই সকল মেয়েদের জন্য জাফরান খুবই কার্যকরি । তারা প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক চামচ দুধ+জাফরান মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি আপনার শরীরে হরমোন উদ্দীপ্ত করে তুলবে।
গর্ভাবস্থায় জাফরান
গর্ভবতী নারীদের জাফরান খাওয়ার প্রচলন অনেক আগে থেকেই। গর্ভবতী মায়েদের গর্ভকালীন নানা সমস্যা ও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। চলুন গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার উপকারিতা কি জেনে নেওয়া যাক
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
- গর্ভকালিন সময়ে অনেক গর্ভবতী মায়েদের রক্তচাপ বেড়ে ও কমে যায়। খাদ্য তালিকায় জাফরান ও ভিটামিন জাতীয় ফলমূল, সবুজ শাক -সবজি রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে থাকে।
অস্বস্তি ও ক্লান্তি দূর
- নিয়মিত জাফরান খেলে অস্বস্তি ও ক্লান্তি দূর হয়। ব্যাথা নিরাময়ে জাফরান বেশ কার্যকরী। বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে টার নড়াচড়ার মাত্রা বেড়ে যায়। এবং মায়ের পেশিগুলোও বাচ্চার জন্য স্থান প্রসরিত করে সামঞ্জস্য করে নেয়। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন সময় মায়েরা পেটে ব্যাথা অনুভব করে। গর্ভবতী কালিন সময়ে জাফরান গ্রহন করলে এই ব্যাথার মাত্রা কিছুটা কম অনুভব হয়।
শরীরে আয়রনের স্তর বাড়ায়
- গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতা দেখা দেওয়া একটি কমন সমস্যা। যা কিনা অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। এই সময়ে বেশি পরিমান আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহনের পরামর্শ দেওয়া হয়। নিয়মিত খাবার তালিকায় জাফরান রাখলে এটি আপনার শরীরে আয়রন ও হিমোগ্লোবিনের স্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ক্র্যাম্পস থেকে মুক্তি দেয়, হার্টের অসুখ থেকে রক্ষা করে, শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা নিরাময় করে; মাড়িতে ব্যাথা নিরাময়ে সাহায্য করে, উন্নত ও স্বাস্থ্যকর হাড় গঠন করে।
রূপচর্চায় জাফরানের ব্যবহার
প্রাচিনকাল থেকেই রুপচর্চায় চন্দন ও জাফরানের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। জাফরান আপনার রোদে পোড়া ত্বক ও ত্বকের দাগ দূর করতে বেশ কার্যকরী। জাফরান দিয়ে কিভাবে রূপচর্চা করবেন ও ফেসপ্যাক বনাবেন।
চন্দন কাঠ, দুধ ও জাফরানের ফেসপ্যাক
- এটি সব থেকে বেশি প্রচলিত ও কার্যকর জাফরান ফেসপ্যাক। আধাকাপ ঘন দুধের মধ্যে ১-২চিমটি জাফরান মিশিয়ে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এর সাথে ১ টেবিল চামচ পরিমান চন্দন গুঁড়া মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি হয়ে গেলে হাতের আঙ্গুলে নিয়ে ক্রিমের মতো করে মুখ ও গলার ত্বকে লাগান। ২০-৩০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন। মুখ শুকাতে ফ্যানের নিচে বা বাতাসে বসা যাবে না।
গোলাপজল ও জাফরানের ব্যবহার
- যদি মুখের ত্বক বেশি তেলতেল হয় তবে এই প্যাকটি আপনার জন্য। প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। ২ টেবিল চামচ গোলাপজলের মধ্যে ২ চিমটি পরিমান জাফরান মিশিয়ে ভালো ভাবে নেড়ে নিন। এর পর ১ ঘণ্টা রেখে দিন। পরিষ্কার তুল নিয়ে তুলা চুবিয়ে চুবিয়ে চেপে চেপে আপনার ত্বক মুছুন। আর আপনি এই টোনার প্যাকটি চাইলে ফ্রিজে রেখেও অনেক দিন ব্যবহার করতে পারবেন। এতে কোন ক্ষতি নেয়।
মধু ও জাফরান ফেপ্যাক
- আপনার ত্বক যদি রুক্ষ হয়ে থাকে তাহলে এটি আপনার জন্য। ১ টেবিল চামচ পরিমান মধু নিন। এর সাথে দুই চিমটি জাফরান মিশিয়ে নিন। ১০ মিনিট রাখার পর আপনার মুখ ও গলার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এভাবে ১০ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। এবং ১৫ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য।
জাফরান ও পুদিনা পাতা
- ব্রন দূর করতে এই প্যাকটি বেশ কার্যকরী। ১ টেবিল চামচ গোলাপজলে আধা চা চামচ (১ বা ২ চামচের কম) পরিমান জাফরান ভিজিয়ে রাখুন। এক মুঠো পুদিনা পাতা বেটে জাফরানের মিশ্রণে মেশান। পেস্টের মতো তৈরি করে মুখের ত্বকে ৩০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে আপনার মুখের ব্রন দূর হবে।